‘আকবর স্যারের মৃত্যুতে রাষ্ট্র শোক পালন করেনা, এটা ব্যর্থতা’

বাংলাদেশের জনপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পী আসিফ আকবর। এই তারকাকে ভালোবেসে ভক্তরা গানের যুবরাজ বলেও সন্মানিত করে থাকেন। দেড় যুগেও বেশি সময় ধরে গানে গানে রাজত্ব করেছেন সংগীতাঙ্গনে। ‘ও প্রিয়া তুমি কোথায়’ অ্যালবাম দিয়ে ২০১১ সালে আলোড়ন সৃষ্টি করেন তিনি। এরপর আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। আসিফ আকবর একজন সংগীত অনুরাগী হলেও দেশের বিভিন্ন ইস্যুতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ সরব।

সাম্প্রতিক সময়ে ব্রিটেনের রানী দ্বিতীয় এলিজাবেভেথের মৃত্যুতে বাংলাদেশ সরকার তিন দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করলেও গীতিকবি গাজী মাজহারুল আনোয়ার ও ড. আকবর আলী খানের মৃত্যুতে রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা না করায় বেশ চটেছেন এই সংগীতশিল্পী। শনিবার (১০ সেপ্টেম্বর) তিনি তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেইজে স্টাট্যাস দিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

আসিফ আকবর লিখেছেন, ‘গাজী মাজহারুল আনোয়ার এই বাংলাদেশের সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ গীতিকবি। স্বাধীনতা স্বার্বভৌমত্ব মানচিত্রের মধ্যমনি গাজী চাচা, প্রয়াত হয়েছেন নিভৃতে। ড. আকবর আলী খান স্যার উনার জীবনের শেষ নিঃশ্বাস থাকা পর্যন্ত এই দেশটাকে গার্ডিয়ানশীপ দিয়ে গেছেন। জাতির এই ক্রান্তিলগ্নে দুজন মহামানবের প্রস্থান অত্যন্ত বেদনাদায়ক, দেশের স্বাধীনতা অর্জনে দুজন’ই ছিলেন শ্রদ্ধাভাজন অগ্রসেনা।’

তিনি লিখেছেন, ‘মারা গেলেন বৃটিশ রানী কুইন এলিজাবেথ, দেশের সোশ্যাল আনসোশ্যাল মিডিয়ার সবাই খুব ব্যথিত। মৃত্যু অবশ্যই বেদনার, রানীর ঔপনিবেশিক গোলামীও তো ভুলতে পারিনা। রাষ্ট্র তিনদিনের শোক ঘোষনা করলো, রাষ্ট্রীয় কূটনৈতিক শিষ্টাচারের ব্যাপারে সরকারের সিদ্ধান্তই আসল। সদ্য মরহুম শ্রদ্ধেয় গাজী মাজহারুল আনোয়ার এবং ড. আকবর আলী খান স্যারের মত পরীক্ষিত দেশপ্রেমিকদের জন্য রাষ্ট্রীয় শোক পালন করা হয়না, এটা আমাদের গোলামী মানসিকতার ব্যর্থতা।’